শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

ঘটনা দুইটির শিক্ষণীয় অনেক দিক আছে













যুগে যুগে ইসলাম বাস্তবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এসেছে। আপনি কি প্রস্তুত বাস্তবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং পদদলিত করতে?
Written By Brother Maksud
.
পূর্বেকার দুইটি ছোট কিন্তু অর্থপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করব-
.
প্রথম ঘটনা-মারিয়াম আঃ যখন ঈসা আঃ কে নিয়ে গর্ভাবস্থায় লোকালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন এবং এক পর্যায়ে ক্ষুধার্ত,ক্লান্ত,অসহায় অবস্থায় একটি খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিলেন।তিনি তার ক্ষুধার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে আল্লাহ ফেরেশ্তা কর্তৃক তার কাছে নির্দেশ পাঠালেন যেন তিনি যেই খেজুর গাছের নিচে অবস্থান করছেন তা হাত দিয়ে নাড়া দেন,এতে করে খেজুর গাছ থেকে যে খেজুর পরবে তা দিয়ে তিনি ক্ষুধা নিবাড়ন করতে পারবেন।
.
এখানে লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে মারিয়াম আঃ তখন প্রচন্ড প্রসব বেদনায়(প্রসব বেদনা কি রকম হয় তা নিয়ে কিছু পড়াশোনা করে নিতে পারেন) কাতর তারউপর উনি দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে এসেছেন, ওনার গায়ে তিল পরিমান শক্তি অবশিষ্ট নাই এমন অবস্থায় খেজুর গাছের মত, শক্ত একটি গাছ একজন মহিলা নাড়া দিবে আর তা থেকে খেজুর পরলে তিনি তা খাবেন ,এটা আমাদের বাস্তবতার নিরিখে দেখলে খাজুরে আলাপ ছাড়া আর কিছুই মনে হবেনা!!এবং এটা নিতান্তই অবাস্তব একটি ব্যাপার, বাস্তবতার আলোকে এখানে খেজুর গাছ নাড়া দেয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।কিন্তু মারিয়াম আঃ আল্লাহর হুকুম পালন করলেন এবং আল্লাহর সাহায্যে খেজুর গাছ থেকে খেজুর পরল এবং তিনি তা খেয়ে শক্তি অর্জন করলেন।
.
এখন এখানে প্রশ্ন? আল্লাহ যদি সাহায্য ই করবেন তবে আবার কেন তিনি বললেন গাছ ধাক্কা দিতে!!!!
.
দ্বিতীয় ঘটনা-
.
যখন ফেরাউনের বাহিনী মুসা আঃ এর কউম কে তাড়া করছিল এবং মুসা এবং তার কউম ফোরাতের তীরে এসে আটকে গেলো এবং মুসা আঃ আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন,তখন আল্লাহ মুসাকে বললেন তোমার লাঠি দ্বারা ফোরাতের গায়ে আঘাত করো।মুসা আঃ আঘাত করলেন এবং ফোরাতের মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়ে গেল যা দিয়ে মুসা আঃ ও তার কউম নদী পাড় হলেন......এমতাবস্থায় যখন ফেরাউন ও একি রাস্তা দিয়ে তাদের দিকে তেড়ে আসছিল,তখন মুসা আঃ আবার তার লাঠি দিয়ে ফোরাতের গায়ে এলপাতাড়ি আঘাত করতে লাগলেন যাতে ফোরাত তার পুরবাবস্থায় ফিরে যায়,কিন্তু এবার আর কাজ হচ্ছে না বরং আস্তে আস্তে ফেরাউন বাহিনী মুসা আঃ ও তার কউম কে ধ্বংস করতে এগিয়ে আসছে। তখন আল্লাহ (সু)মুসাকে উদ্দেশ্য করে বললেন হে মুসা তোমার কি মনে হয় ওই লাঠির আঘাতে ফোরাত খণ্ডিত হয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে?না এটাতো ছিল আমার হুকুম!!!!!
.
আবার প্রশ্ন মুসা আঃ কে আল্লাহ যে কাজ করতে বলেছিলেন তা কি বাস্তবতার আলোকে একটি পাগলের প্রলাপ নয়?এইরকম কেউ যদি প্রস্তাব করে যে তুমি লাঠি দিয়ে বাড়ি মারলেই নদীর মাঝে রাস্তা হয়ে যাবে তা বিশ্বাস করা এবং সেই অনু্যায়ি কাজ করা কি বোকামি বলেই পরিগনিত হবেনা!!!!!কিন্তু মুসা আঃ হুকুম অনু্যায়ি অবিচল রইলেন এবং আল্লাহ ফোরাত এর মাঝে রাস্তা তৈরি করে দিলেন......কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় আল্লাহ এ পাশে এসে বলছেন লাঠীর আঘাতে নাকি কিছুই হয়নি!!!!তাহলে আল্লাহ কেন শুধু শুধু আঘাত করতে বললেন!!!!
.
এই ঘটনা দুইটির শিক্ষণীয় অনেক দিক আছে আমি কয়েকটি দিক বলব!!
.
আমাদের দ্বীনের ভিক্তি হচ্ছে আল্লাহর উপর ইমান!! দ্বীন আমাদেরকে শারিয়াহ দ্বারা দিক নির্দেশনা দেয় এবং আমাদের কাজের ফলাফলের ব্যাপারে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল এর নির্দেশ দেয়।
.
আজকে অনেকেই বাস্তবতার আলোকে তাদের কর্মকাণ্ডের দিকনির্দেশনা গ্রহন করে থাকেন যখন কিনা আমদের দিকনির্দেশনা নেয়ার কথা শারিয়াহ থেকে!!!!!হ্যা আমরা বাস্তবতা(মানাত) পর্যালোচনা করব যাতে করে আমরা শারিয়াহর দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ভুল জায়গায় ভুল হুকম না বাস্তবায়ন করি!!!!
.
আজকে আমাদেরকে অনেকেই বলে এখন এই যুগে বাংলাদেশ এ খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়!!!সেনাবাহিনী কখনোই আপনাদের নুস্রাহ দিবে না!!!!তখন আমরা তাদের বলি,আপনার বাস্তবতার ব্যাপারে এই হতাশাব্যাঞ্জক বিশ্লেষণই আমাদের জন্য অনুপ্রেরনা এবং আমরা আশান্বিত এই জন্য যে আল্লাহর সুন্নাহ ই হচ্ছে বাস্তবতার বিপরীত কিছু করে দেখানো, না হয় এটা আল্লাহর শান বা ভাব বা অহংকারের সাথে ঠিক খাপ খায় না!!!!!
.
আসলেই মুমিনদেরর বিষয়টা আশ্চর্যজনক। আপনারা আমাদেরকে অনুপ্রানিত করলেও আমরা অনুপ্রানিত হই আবার তিরস্কার বা হতাশাব্যাঞ্জক কিছু বললেও হই!!!
.
উপরের ঘটনা দুটোর আরেকটি দিক হচ্ছে আমরা বিশ্বাস করিনা আমাদের কাজের কারনে কিছু হয়!!আমরা যদি মনে করি যে মারিয়াম আঃ এর গাছে ধাক্কা দেয়ার কারনেই খেজুর পড়েছে বা বা মুসা আঃ এর ফোরাতে লাঠি দিয়ে বাড়ি মাড়ার কারনেই ফোরাতে রাস্তা হয়েছে তবে আমরা সঠিক ভাবে আল্লাহর উপর ঈমাণ আণলাম না! আমরা খিলাফাকে আমদের কাজের রেসাল্ট হিসেবে পাব বলে আমাদের কাজ করিনা,বরং আমরা আমাদের কাজ করি আল্লাহর হুকুম হিসেবে,শারিয়াহ অনুযায়ী যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের উপর খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার কাজ ফরজ করে দিয়েছেন......আমরা একি সময়ে তীব্র বেগে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে খিলাফাহর জন্য কাজ করে যাই এবং একিসময়ে বিশ্বাস করি খিলাফাহ হবে দুনিয়াতে আমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ আমাদের কাজের ফসল না,তবে এই অনুগ্রহ পাবার শর্ত হচ্ছে হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকা,তাই আমরা তীব্র আশা করি।যা করার আল্লাহ ই করবেন তবে তিনি তার আগে পরিক্ষা করে নিবেন মারিয়াম আঃ এর মত নারীকে, মুসা আঃ এর মত নবীকে এবং আমাদের মত দুর্বল বান্দাদেরকে যে আমরা কি তার কথায় বিশ্বাস করে হুকুম অনুযায়ি অবিচল থাকি কিনা!!!নাকি কিছু বাস্তববাদীদের কথায় বা কিছু বাস্তবতার স্বীকার হয়ে আল্লাহর হুকুম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেই। আল্লাহ আমাদেরকে হুকুম অনুযায়ি অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন।




OTTOMAN PILOT AHMET ALI EFFENDI
WORLD'S FIRST BLACK PILOT, 1916

Ahmet Ali Effendi (Ahmet Ali Çelikten) was an Ottoman aviator who may have been the first black military pilot in aviation history. Ahmet born in 1883 in İzmir to his mother Zenciye Emine Hanım and father Ali Bey, of African Turkish descent. (His grandmother and grandfather are from Nigeria) He aimed to become a naval sailor and entered the Naval Technical School named Haddehâne Mektebi (literally "School of the Blooming Mill") in 1904. In 1908, he graduated from school as a First Lieutenant (Mülâzım-ı evvel). And then he went to aviation courses in the Naval Flight School (Deniz Tayyare Mektebi) that was formed on 25 June 1914 at Yeşilköy. He was then a member of the Ottoman Air Force.
During World War I, he married Hatice Hanım who was an immigrant from Preveza. He became first black military pilot in aviation history when he started serving in November 1916. On 18 December 1917, Captain (Yüzbaşı) Ahmed Ali was sent to Berlin to complete aviation courses. He died in 1969.
Source: Ottoman History Picture Archives








 
 
 
 
 
 
 
 
·









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন