সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪

গাযওয়াতুল হিন্দ হিন্দুস্তানের (চূড়ান্ত) যুদ্ধ

গাযওয়া ই হিন্দ – হিন্দুস্তানের (চূড়ান্ত) যুদ্ধ সম্পর্কিত হাদিস সমূহ

24 February 2014 at 10:23
গাযওয়া ই হিন্দ – হিন্দুস্তানের (চূড়ান্ত) যুদ্ধ




রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেন, আমার উম্মহর দুইটি দলকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন।

১- যারা হিন্দের (ভারতের) বিরুদ্ধে লড়ে যাবে।
২- যারা হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গী হবে।

(সুত্র: মুসনাদে আহমদ, নাসাঈ শরীফ)

আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ আমাকে বলেছেন যে, “এই উম্মাহর মধ্যে একটি দল সিন্ধ এবং হিন্দ এর দিকে অগ্রসর হবে।”
হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেন, “আমি যদি এই অভিযানে শরীক হতে পারতাম এবং শহীদ হতে পারতাম তাহলে উত্তম হত; আর যদি আমি গাজী হয়ে ফিরে আসতাম তবে আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম, যাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিতেন।” (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)

[মুসনাদে আহমাদ, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, আস সুনান আল মুজতাবা]


রেফারেন্স:

এই শব্দগুলো দিয়ে শুধুমাত্র ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) তার ‘মুসনাদে’ হাদিসটি বর্ণনা করেছন এবং ইবনে কাসির এই রেফারেন্সে হাদিসটির অনুলিপি তার ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ –তে উল্লেখ করেছেন।

ক্বাজী আহমাদ শাকির এই হাদিসের একটি সুন্দর স্থায়িভাব দিয়েছেন ‘মুসনাদে আহমাদের ব্যাখ্যা ও খোঁজে’ –তে।

ইমাম নিসাই হাদিসটি তার উভয় গ্রন্থ ‘আস সুনান আল মুজতাবা’ এবং ‘আস সুনান আল কুবরা’ –তে বর্ণনা করেছেন।
এর মাঝে নিম্নোক্ত শব্দ ব্যবহার করে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেন, “রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ (স) আমাদেরকে গাযওয়ায় হিন্দ সম্পর্কে ওয়াদা করেছেন। আমি যদি এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতাম তাহলে আমি এর জন্য আমার সকল শক্তি ও সম্পদ ব্যয় করে দিতাম। যদি আমি এতে নিহত হতাম, তাহলে আমি অতি উত্তম শহীদদের একজন হতাম। আর যদি ফিরে আসতাম তবে একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম।”


ইমাম বায়হাকি (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরূপ শব্দগুলোর উল্লেখ করেছেন ‘আস সুনান আল কুবরা’ –তে। তার আরকটি বর্ণনায় একটি শব্দ যোগ হয়েছে।


ইবনে দাউদের রেফারেন্সে, মাসদাদ আবু-ইসহাক ফাযারি সম্পর্কে বলেন যে তিনি বলতেন, “আমি যদি রোম শহরের যে গাযওয়াত গুলোতে অংশগ্রহণ করেছি তার বদলে মারবাদ (ভারত থেকে আরবের পূর্বে কিছু অঞ্চল) এর গাযওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারতাম!”


ইমাম বায়হাকি (রাহিমাহুল্লাহ) একই বর্ণনা সম্পর্কে তার ‘দালাইল আন নুবুওয়াহ’তে বলেছেন। এবং তার এই রেফারেন্সে, অনুরূপ বর্ণনা তুলে ধরেছেন ইমাম সুয়ুতি (রাহিমাহুল্লাহ) ‘ইন আল খাসাইস আল কুবরা’ –তে।


অধিকন্তু, নিম্নোক্ত হাদিস বর্ণনাকারীরা একই হাদিস সামান্য ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে বর্ণনা করেছেন,


• শায়খ আহমাদ শাকির (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদিসটিকে অনুমোদন করেছেন।
• ইবনে কাসির অনুরূপ হাদিসটি ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’-তে ব্যবহার করেছেন।
• আবু নাঈম (রাহিমাহুল্লাহ) এটি ‘হুলিয়াত উল আউলিয়া’তে বর্ণনা করেছেন।
• ইমাম হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদিসটি ‘আল মুস্তাদরাক আল সাহিহ’তে বর্ণনার পর নীরব থেকেছেন।
• তথাপি, ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) তার মুস্তাদরাক এ এটি তুলে দিয়েছেন।
• সাঈদ ইবন মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) এটি তার বই ‘আস সুনান’ -এ এটি বর্ণনা করেছেন।
• খতীব বাগদাদী তার বাগদাদের ইতিহাসে লিখেছেন যে ‘এর জন্য আমি নিজেকে অস্থির বানিয়ে ফেলতাম।’
• নাঈম বিন হাম্মাদ (রাহিমাহুল্লাহ); ইমাম বুখারীর (রাহিমাহুল্লাহ) শিক্ষক এটি ‘আল ফিতান’ -এ লিখেছেন।
• ইবনে আসিম (রাহিমাহুল্লাহ) তার ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থে লিখেছেন।
• ইবনে হাতীম (রাহিমাহুল্লাহ) তার ‘আল লা’ল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, ‘যদি আমি নিহত হই, তবে আমি জীবিত থাকব আহার্য পেয়ে (শহীদ হিসেবে) এবং যদি ফিরে আসি, তবে হব মুক্ত।
• ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল তারিক আল কাবির’-এ বর্ণনা করেছেন।
• ইমাম মাযী হাদিসটি ‘তেহজিব উল কামাল’-এ বর্ণনা করেছেন।
• ইবনে হাযার আসকালানী হাদিসটি ‘তেহজিব আল তেহজিব’-এ বর্ণনা করেছেন।


উপরোক্ত সকলের লিখা অনুযায়ী এই হাদিসটি পুরোপুরি সঠিক এবং সুন্দর।




নবীজী মুহাম্মাদ ﷺ এর আজাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেন,

“আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে।” (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)

হযরত সাওবান (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) কে বলতে শুনেছেন যে রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন) এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) কে শামে (সিরিয়া) পাবে।”

হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেন, “আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম। যখন আল্লাহ্ সুবহানাহুওয়াতা’আলা আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা শামে (সিরিয়ায) হযরত ঈসা (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত। ওহ রাসূলুল্লাহ ﷺ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ এর একজন সাহাবী।”
বর্ণনাকারী বলেন যে রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ মুচকি হাসলেন এবং বললেন, “খুব কঠিন, খুব কঠিন!”

(আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)

[মুসনাদে আহমাদ, আস সুনান আল মুজতাবা, আস সুনান আল কুবরা, আল মজাম আল অস্ত, আল জাম্য আল কাবীর]


রেফারেন্স:

• ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) ‘মুসনাদ’
• ইমাম নিসাই (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আস সুনান আল মুজতাবা’
• শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন
• তদ্রূপ ‘আস সুনান আল কুবরা’
• ইবনে আবি আসিম (রাহিমাহুল্লাহ) ‘কিতাবুল জিহাদ’
• ইবনে আদি (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল কামিল ফী যাউফা আর রীযাল’
• তাবরানী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল মজাম আল অস্ত’
• বায়হাকী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আস সুনান আল কুবরা’
• ইবনে কাসীর (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’
• ইমাম ওয়েলমি (রাহিমাহুল্লাহ) ‘মুসনাদ আল-ফিরদাউস’
• ইমাম সুয়ুতি (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল জাম্য আল কাবীর’
• ইমাম মানভী (রাহিমাহুল্লাহ) আল জামায় আল কাবীরের তাফসীর ‘ফায়েয আল কাদের’
• ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘আল তারীক আল কাবীর’
• ইমাম মাযী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘তেহজিব আল কামাল’
• ইবনে আসাকার (রাহিমাহুল্লাহ) ‘দামাস্কাসের ইতিহাস’



হযরত কা’ব (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) কর্তৃক বর্ণিত রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ বলেন,

“জেরুসালেমের (বাই’তুল মুক্বাদ্দাস) একজন রাজা তার একটি সৈন্যদল হিন্দুস্তানের দিকে পাঠাবেন, যোদ্ধারা হিন্দের ভূমি ধ্বংস করে দিবে, এর অর্থ-ভান্ডার জয় করবে, তারপর রাজা এসব ধনদৌলত দিয়ে জেরুসালেম সজ্জিত করবেন, দলটি হিন্দের রাজাদের জেরুসালেমের রাজার দরবারে উপস্থিত করবে, তার সৈন্যসামন্ত তার নির্দেশে পূর্ব থেকে পাশ্চাত্য পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে এবং হিন্দুস্তানে ততক্ষণ অবস্থান করবে যতক্ষন না দাজ্জালের ঘটনাটি ঘটে।”

রেফারেন্স:

ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) এর উস্তাদ নাঈম ইবন হাম্মাদ (রাহিমাহুল্লাহ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেন তার ‘আল ফিতান’ গ্রন্থে। এতে, সেই উধৃতিকারীর নাম উল্লেখ নেই যে কা’ব (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। কিন্তু কিছু আরবী শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে, তাই এটা এর সাথে সংযুক্ত বলেই বিবেচিত হবে। এসব শব্দাবলী, “আলমুহকামউবনু না’ফি-ইন আম্মান হাদ্দাসাহু আন কাবিরিন।”




হযরত সাফওয়ান ইবনে উমরু (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেন, কিছু লোক তাকে বলেছেন যে রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেন,

“আমার উম্মাহর কিছু লোক হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ তাদের সফলতা দান করবেন, এমনকি তারা হিন্দুস্তানের রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা (শামের) সিরিয়া দিকে অগ্রসর হবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) কে সেখানে পাবে।” (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)


রেফারেন্স:

নাঈম বিন হাম্মাদ এই হাদিসটি ‘আল ফিতান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তবে হাদিসটি এর ক্রমানুযায়ী বিতর্কের পর্যায়ে আছে।



হযরত নাহীক ইবনে সারীম (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেন, “নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) সঙ্গে যুদ্ধ করবে। এমনকি এই যুদ্ধে তোমাদের বেঁচে যাওয়া মুজাহিদরা উর্দুন (জর্ডান) নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান গ্রহণ করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে।” (আল ইসাবা, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪৭৬)


এখানে মুশরিকদের দ্বারা উদ্দেশ্য ভারতীয় উপমহাদেশের মূর্তিপূজারী জাতি। এর মানে এটি হাদিস শরীফে বর্ণিত সেই যুদ্ধ, ‘গাযওয়াতুল হিন্দ’ বা ‘গাযওয়া ই হিন্দ’ যেখানে মুজাহিদরা এই উপমহাদেশে আক্রমণ চালাবে, আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দান করবেন, ক্ষমা করে দেবেন, বেঁচে যাওয়া মুজাহিদরা জেরুসালেমে ফিরে যাবে এবং সেখানে ঈসা (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) সাক্ষাত পাবে এবং ঈসা (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) নেতৃত্বে দাজ্জালের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২; আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯ ও ৪১০)


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) বলেছেন, “সমুদ্রের শহীদান (খ্রিস্টানদের সাথে মহাযুদ্ধে), আন্তাকিয়ার-আমাকের শহীদান (খ্রিস্টানদের সাথে মহাযুদ্ধে) ও দাজ্জালের সাথে মহাযুদ্ধের শহীদান হল মহান আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠতম শহীদ।” (আল ফিতান, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৯৩)

এসব যুদ্ধের শহীদদের সম্পর্কে এক বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে, “উক্ত যুদ্ধে যে এক তৃতীয়াংশ লোক শহীদ হবে, তাদের এক একজন বদরি শহীদদের দশজনের সমান হবে। বদরের শহীদদের একজন সত্তরজনের জন্য সুপারিশ করবে। পক্ষান্তরে এই ভয়াবহ যুদ্ধগুলোর একজন শহীদ সাতশত ব্যক্তির সুপারিশের অধিকার লাভ করবে।” (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১৯)


তবে মনে রাখতে হবে, এটি একটি শানগত মর্যাদা। অন্যথায় মোটের উপর বদরি শহীদদের মর্যাদা ইতিহাসের সকল শহীদের মাঝে সবচেয়ে উঁচু।

https://www.facebook.com/notes/%D8%B3%D8%A7%D8%AC%D8%AF-%D8%A7%D9%84%D8%A5%D8%B3%D9%84%D8%A7%D9%85/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%82%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9/540042456103269





রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতিশ্রুত “গাযওয়াতুল হিন্দ” কি অতি নিকটে???

21 April 2014 at 18:02
“গাযওয়াতুল হিন্দ” বলতে ইমাম মাহদি(আঃ) এবং ঈসা(আঃ) এর আগমনের কিছুকাল আগে অথবা সমসাময়িক সময়ে এই পাক-ভারত-বাংলাদেশে মুসলিম ও কাফিরদের মধ্যকার সংগঠিত যুদ্ধকে বুঝায়।

“গাযওয়া” অর্থ যুদ্ধ, আর “হিন্দ” বলতে এই উপমহাদেশ তথা পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ শ্রীলঙ্কা,নেপাল,ভুটানকে বুঝায়। এবং বর্তমানে এই অঞ্চলের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আমাদেরকে সেই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহু আ'লাম।

একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত আর তা হলো রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর প্রতিটি কথা সত্য এবং গত ১৪০০ বছরের ইতিহাস সেই সাক্ষী বহন করে চলেছে। এবং ইন শা আল্লাহ্‌ কিয়ামত পর্যন্ত সত্য হয়ে যাবেই। এটাই একজন মুসলিমের ঈমানের অন্যতম ভিত্তি যে সে রাসুলুল্লাহ(সঃ)  এর সব কথা, ভবিষ্যৎবাণীকে বিনা বাক্যে বিনা দ্বিধায় মেনে নিবে।


রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর কথা অনুযায়ী খোরাসান (বর্তমান আফগানিস্থান) থেকে কালিমাখচিত কালোপতাকাধারীদের উত্থান এবং তাদের কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে ৭ লক্ষ সেনা মোতায়েন, পাক-ভারত-বাংলাদেশের হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর আলোচনায় উঠে আসা, পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে ভারতের ভেতরে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, সেভেন সিস্টারস তথা ভারতের ৭ টি অঙ্গরাজ্যের স্বাধীনতার দাবি নিঃসন্দেহে ভারত বিভক্তির ইঙ্গিত বহন করে।


সে সময় অবশ্যই পাক-ভারত-বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা আলাদা হয়ে যাবে। তারা হইতো কাফিরদের পক্ষে যোগ দিবে অথবা পালিয়ে বেড়াবে। এবং এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হবে এবং তারা বায়তুল মুকাদ্দাস(বর্তমান ফিলিস্তিন) এ গিয়ে ঈসা(আঃ) এর সাথে মিলিত হবে এবং খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করবে।


হাদিস শরীফে বর্ণিত “গাজওয়াতুল হিন্দ” সম্পর্কে আসা ৫ টি হাদিসই বর্ণনা করছি। 


(১) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর প্রথম হাদিস

আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,  তিনি বলেনঃ

“আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে হিন্দুস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। কাজেই আমি যদি সেই যুদ্ধের নাগাল পেয়ে যাই, তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও সমস্ত সম্পদ ব্যয় করে ফেলব। যদি নিহত হই, তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হব। আর যদি ফিরে আসি, তাহলে আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব”।

(সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)


(২) হযরত সা্ওবান (রাঃ) এর হাদিস

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আজাদকৃত গোলাম হযরত সা্ওবান (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’।

(সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)


 (৩) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর দ্বিতীয় হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,

“অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম(আঃ) কে শাম দেশে(বর্তমান সিরিয়ায়) পাবে”।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,

“আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী”।

বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’।

(আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)


(৪) হযরত কা’ব (রাঃ) এর হাদিস

এটা হযরত কা’ব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ

“জেরুসালেমের (বাই’ত-উল-মুক্বাদ্দাস)[বর্তমান ফিলিস্তিন] একজন রাজা তার একটি সৈন্যদল হিন্দুস্তানের দিকে পাঠাবেন, যোদ্ধারা হিন্দের ভূমি ধ্বংস করে দিবে, এর অর্থ-ভান্ডার ভোগদখল করবে, তারপর রাজা এসব ধনদৌলত দিয়ে জেরুসালেম সজ্জিত করবে, দলটি হিন্দের রাজাদের জেরুসালেমের রাজার দরবারে উপস্থিত করবে, তার সৈন্যসামন্ত তার নির্দেশে পূর্ব থেকে পাশ্চাত্য পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে, এবং হিন্দুস্তানে ততক্ষণ অবস্থান করবে যতক্ষন না দাজ্জালের ঘটনাটি ঘটে”।

(ইমাম বুখারী (রঃ) এর উস্তায নাঈম বিন হাম্মাদ (রঃ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেন তার ‘আল ফিতান’ গ্রন্থে । এতে, সেই উধৃতিকারীর নাম উল্লেখ নাই যে কা’ব (রাঃ) থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছে)


(৫) হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ)

তিনি বলেন কিছু লোক তাকে বলেছেন যে রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

“আমার উম্মাহর একদল লোক হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ তাদের সফলতা দান করবেন, এমনকি তারা হিন্দুস্তানের রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা সিরিয়া ফিরে যাবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে (আঃ) এর সাক্ষাত লাভ করবে”।

(আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)

এখানে রাসুল (সাঃ) এর বর্ণিত তৎকালীন হিন্দুস্তানের সীমারেখা বর্তমান ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ে।


বর্তমানে এই উপমহাদেশের মুর্তিপুজারী ভূখণ্ডের মুসলিম প্রধান ভূখণ্ডের উপর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনের অব্যাহত প্রচেষ্টা দেখলে বুঝা যায় যে, এটি একদিন চূড়ান্ত সংঘাতময়রূপ ধারণ করবে এবং এখানকার দ্বীন ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎ বাণী মোতাবেক উম্মতের একটি দলকে এই দিকে অগ্রসর হতে হবে। এবং এটি ঘটবে সেই সমসাময়িক সময়ে যখন সমগ্র দুনিয়াতে ইসলামের ক্রান্তিলগ্নে ইসলামকে খিলাফতের আদলে সাজাতে আল্লাহ ইমাম মাহদিকে প্রেরণ করবেন আর যার খেলাফতের সপ্তম বছরে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং দাজ্জালের সাথে মহাযুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে ঈসা (আঃ) এর আগমন ঘটবে।

"CIA terrified of Ghazwa e Hind" শিরোনামে এই ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারবেন তারা কতোটা সচেতন আর আমরা কতোটা গাফেল হয়ে আছি।

http://www.youtube.com/watch?v=RqNbqfai9aE


প্রকৃত সময় এবং অবস্থা একমাত্র আল্লাহ্‌ সুবহানু তায়ালাই জানেন। আমরা কেবলমাত্র হাদিসের আলোকে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ঘটনা সম্পর্কে নিজেদেরকে সচেতন এবং প্রস্তুত করতে পারি। মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সহিহ বুঝ দান করুন,ক্ষমা করুন, মুনাফিকি থেকে হিফাজত করুন এবং তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমিন। 

শেয়ার করুন। যেসব ভাই বোনেরা জানে না তাদেরকে জানার সুযোগ করে দিন। 

https://www.facebook.com/notes/sabet-bin-mukter/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%83-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%87/871476542867940



At yet we claim to love our brothers!!
But not call on Muslim armed forces to respond!!
 



"কারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত!" Banda Reza ভাইয়ের

কষ্টিপাথর দিলামঃ পরখ করে দেখুন কারা সত্যের উপর অটুট! |


www.bandareza.com/touchstone
















৩টি মন্তব্য:

  1. আমি কী ্‌এই হাদীস ্‌এর সাথে বর্তমান বিস্তারিত পেতে পারি...

    উত্তরমুছুন
  2. ঈসা আঃ এর হাতে বিজয়ী মুসলিমরা বায়আত হবেন - এখান থেকেই অনুমান করা যায় গাযওয়ায়ে হিন্দের এখনো অনেক দেরী আছে।

    উত্তরমুছুন
  3. এখানে হাদিসের অনেক ভুল ব্যাখ্যা আছে, আমার এই লিংকটা পড়ুন তারপর বুজবেন https://drive.google.com/file/d/1z_Lemwkcikq0odF-P-ZlBeKe8K_04aHt/view?usp=drivesdk

    উত্তরমুছুন