শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০১৪

খলিফা আব্দুল মাজিদ ইস্তাম্বুলের মসনদে।

ওসমানীয় খেলাফত চলছে তখন, ১৮৪৫ সাল।
খলিফা আব্দুল মাজিদ ইস্তাম্বুলের মসনদে।
এসময়ে এসেও ইউরোপের অবস্থা খুব একটা সুবিধার
ছিলনা, বিভিন্ন আর্থিক-সামাজিক সমস্যা বিপর্যস্ত
ছিল অনেক ইউরোপীয় দেশ। আয়ারল্যান্ডে এসময়
দেখা দেয় এক ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ। মহামারী টাইপের
রোগও ছড়িয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের
প্রতিবেশী রাজ্যে, মারা যেতে থাকে হাজার
হাজার আদম সন্তান। এই দূর্ভিক্ষে প্রায় ১০ লাখ লোক
মারা যায়। আয়ারল্যান্ডের এই
দূর্দশা দেখে এগিয়ে আসেন খলিফা আব্দুল মাজিদ।
তিনি জরুরীভাবে ১০ হাজার স্টারলিং (যার
বর্তমান মূল্য প্রায় ১৭ লাখ মার্কিন ডলার) সাহায্য
পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ডবাসীর জন্য।
কিন্তু বাধ সাথে ইউরোপের মোড়ল ইংল্যান্ড।
গোটা দুনিয়ায় লুণ্ঠন করে বেড়ানো ইংল্যান্ড
নিজেদের অধিনস্ত রাজ্যকে এই দূর্যোগেও মাত্র
২০০০ স্টারলিং এর বেশী সাহায্য
দেয়নি সেখানে কেন মুসলিম খলিফা তার ৫ গুণ
টাকা দিবে ! এ তো ইংল্যান্ডের মান-ইজ্জতের
ব্যাপার । রানী ভিক্টোরিয়া ইস্তাম্বুলকে এই
বলে সাবধান করে দেন
যে ইংল্যান্ডকে ডিংগিয়ে আয়ারল্যান্ডকে সাহায্য
দিতে যাওয়াটা রাজনৈতিক
এবং কূটনৈতিকভাবে বিপদজনক হতে পারে।
বাধ্য হয়ে খলিফা সাহায্যের পরিমাণ ১ হাজার
স্টারলিং এ নামিয়ে আনেন। এর পরেও এই অর্থের মূল্য
ছিল বর্তমান বাজার দরে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার
মার্কিন ডলার।
খলিফা আব্দুল মজিদ এতে সন্তুষ্ট হতে পারলেননা,
বারবার মনে হচ্ছিল তার যে এ অর্থে মৃত্যুর
কূপে পড়ে যাওয়া মানুষগুলোর কিছুই হবেনা হয়ত।
তিনি গোপনে ৩ টি জাহাজ ভর্তি করে খাবার
এবং ত্রাণ পাঠালেন আয়ারল্যান্ডের দিকে।
গোপেন বহু মাধ্যমে পাঠালেন নগদ অর্থ। মুসলিম
ত্রানবহরকে বৃটিশ সৈন্যরা আটকে দিল ডাবলিন
এবং বেলফাস্টের ঢোকার পথে। ওসমানীয়
সৈন্যরা দমে না গিয়ে ফেরার পথে ডাবলিনের
উত্তরে গোপনে ড্রগেডা নামের এক ছোট্ট শহরের
পাশে নোংগর করে গোপেন ত্রান সামগ্রী সেই
শহরের মেয়রের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডবাসীর
কাছে পৌছে দেয়।
ইউরোপের বাঘা বাঘা লুটেরা দেশ থাকতে মুসলিম
এক শাসকের এই ভালবাসা আর সাহায্য অভিভূত
করে আয়ারল্যান্ডের মানুষকে।
১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রগেডা শহরের মেয়র
গডফ্রে খলিফা আব্দুল মজিদের এই সাহায্য
এবং অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন এবং তৎকালীন
মুসলিম খেলাফতের সম্মানে একটি স্মৃতিফলক উদ্ধোধন
করেন।
এখনো যদি সেই ড্রগেডা শহরে যান তো দেখবেন
সেখানকার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব 'ড্রগেডা ফুটবল ক্লাব'
এর লোগোতে ওসমানীয় খেলাফতের প্রতি সম্মান
জানানোর নিদর্শন হিসেবে মুসলমানদের প্রতীক
অর্ধচন্দ্র বা হেলাল-সেতারা অংকিত আছে।
এছাড়া ড্রগেডা কোর্ট অফ আর্মসের লোগোতেও
অংকিত আছে মুসলিম খেলাফতের গৌরবান্বিত
ইতিহাস।
এই আয়ারল্যান্ডেও কতিপয় উগ্র খৃষ্টান মুসলমানদের
বিরুদ্ধে কূৎসা রটায়, মৌলবাদী-ধর্মান্ধ এসব
আখ্যা দিয়ে ইসলাম এবং মুসলমানদের প্রিয়
নবীকে গালিগালাজ করে।
তারা গালি দেবার আগে যদি মৌলবাদীদের এসব
ইতিহাসগুলো পড়ে দেখত !
আফসোস ! আমরাই বা কতটুকু জানি নিজেদের
ইতিহাস !
















এরা আমার আপনার ফিলিস্তিনী ভাই
বোন! ভাবছেন এরা এভাবে কাঁদছে কেন!?
একটি বার এদের খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন আপনি?
আপনার কাছে তো এখন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলে ছাড়া অন্য কোন কিছুরই খবর
নেই! আপনি তো এখন রাসুল সা.এর সেই হাদীস
ও ভুলে গিয়েছেন যে : মুসলমান মুসলমানের ভাই!
হ্যাঁ হ্যাঁ ....এরা আমার আপনার মুসলমান
ভাই-বোন! আমি আপনি যখন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বলে চিল্লাচ্ছি,
তখন এরা ইসরাইলী মানুষরুপী জানোয়ার মার্কা সেনাদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষা করার জন্য
বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তনাদ করছে! আর অঝরে অশ্রু ঝরাচ্ছে! এমন অবস্থার পরও সেই কুফফারদের
সাথে গলায় গলা মিলিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের নামে বিশ্ব উন্মাদনায় শরীক হয়ে বিশ্বের সকল নির্যাতিত
মুসলমান ভাইদের সাথে উপহাস করতে আপনার বুক কি একটুও কাঁপছে না?
বিশেষ দ্রঃ বিশ্ব উন্মাদনা বিরোধী পোষ্ট অনেকের কাছে অনেক খারাপ লাগছে!
লাগুক খারাপ! তবুও আমি গাফলতির ঘুমে ডুবে থাকা মুসলামানদের
কে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েই যাবো ইনশাআল্লাহ!







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন